ছবি সংগ্রহীত
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের পেস বোলিং আক্রমণের নেতা হয়ে উঠেছেন তাসকিন আহমেদ। তবে সময়ের সাথে সাথে হাসান মাহমুদ, ইবাদত হোসেন, শরিফুল ইসলামরাও দেখাচ্ছেন ঝলক। মুস্তাফিজুর রহমানতো আগে থেকেই প্রমাণিত। ম্যাচ জয়ে পেসারদের ভূমিকা বাড়ছে। নিজেদের ভাই হিসেবে উল্লেখ করে তাসকিন বলছেন বিশ্ব ক্রিকেটে হুমকি দিতে চান তারা।
এদিকে ঘরে-বাইরে টাইগার পেসারদের দাপট বাড়ছে। ইংল্যান্ডের পর আয়ারল্যান্ড সিরিজেও কখনো ইবাদত তো কখনো হাসান মাহমুদরা নিজেদের মঞ্চ শক্ত করছেন। আজ ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বৃষ্টি আইনে ২২ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। যেখানে বল হাতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং তাসকিনের, ম্যাচের মোড় ঘুরানো বোলিং হাসানের।
রনি তালুকদারের ৬৭, লিটন দাসের ৪৭ ও সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ৩০। ১৯.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ৫ উইকেটে ২০৭ রান। এরপর নামে বৃষ্টি, আয়ারল্যান্ডের জন্য নতুন লক্ষ্য ৮ ওভারে ১০৪। ২ ওভারে ৩২ রান তুলে জবাবটা ভালোই দিচ্ছিল আয়ারল্যান্ড। তবে ইনিংসের তৃতীয় ওভার করতে এসে ৫ রান দিয়ে ১ উইকেট তুলে নেন হাসান। সেই যে রানের গতি কমেছে এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
যেখানে বড় বাধা তাসকিন, নিয়েছেন ১৮ রানে ৪ উইকেট। পেসারদের কল্যাণে আইরিশদের ৮১ রানে থামিয়ে ২২ রানের জয় টাইগারদের। এর আগে তৃতীয় ওয়ানডেতেও হাসান নিয়েছেন ৫ উইকেট। তাসকিনের পথ ধরে পেস ইউনিটে হাসানদের আগমনকে দারুণ ইতিবাচক বলা হচ্ছে। তাসকিন নিজে তো শরিফুল, হাসান, মুস্তাফিজ, ইবাদকে ভাই মনে করেন। তাদের সাফল্যে প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং আনন্দ অনুভব করেন।
আজ সংবাদ সম্মেলনে যেমনটা বলছিলেন, ‘আমরা পেসাররা সবাই ভাই ভাই, আমি চাই হাসান ১০ উইকেট নিক। সবাই যত ভালো করবে প্রতিপক্ষ তত চাপ অনুভব করবে। আপনি যেটা বললেন ওরা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী কীনা? না।’ তাসকিনের প্রতিদ্বন্দ্বী তাসকিন নিজেই। তার চাওয়া বাকি ভাইদের নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের হুমকি হতে।
এ প্রসঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি চাইবো সবাই মিলে ভালো করতে। তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটে একটা হুমকি যাবে বাংলাদেশি পেস বোলাররা উঠে আসতেছে। ১০ উইকেট নিলেও আমার কোনো ক্ষতি নাই, আমার কোনো লাভ নাই। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী আমি নিজে। তো ওটাই সবাই ভালো করুক দোয়া করি