সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির নেতারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে তাদের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ৭৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
তিনি বলেন, ‘এখনও সুযোগ আছে, যারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে, দল তাদের বিষয়ে বিবেচনা করবে।’ শনিবার (২৭ এপ্রিল) শান্তিনগর এলাকায় পথচারী ও রিকশা শ্রমিকদের মাঝে বোতলজাত পানি ও স্যালাইন বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘সামান্য লোভ বা চাপে সরকারের পক্ষ হয়ে নির্বাচনে যাবেন না। দেশের মানুষ এ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যায়নি, যাবেও না। তাই দেশের স্বার্থে ও মানুষের অধিকার আদায়ে নির্বাচন বর্জন করুন।’
সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের জন্য সরকারকে দায়ী করে রিজভী বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের জন্য গাছ-পালা বন-জঙ্গল উজাড় করে, নদী-নালা খাল-বিল ভরাট করে এবং তাপবিদ্যুৎ ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থপান করে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে সরকার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, যুবদলের এজমল হোসেন পাইলট, মেহেবুব মাসুম শান্ত, ওমর ফারুক কায়সারসহ নেতাকর্মীরা।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে অংশ নেয়ার অভিযোগে ৭৩ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বহিষ্কৃতদের মধ্যে প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ২৮ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ২৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী। বাকি ২১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যে সমস্ত নেতা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদেরকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বিএনপি’র প্রাথমিক সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।