বাংলাদেশ চাঁদেও যাবে : প্রধানমন্ত্রী

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অত্যাধুনিক তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার সংযোগ’ স্লোগান নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের উদ্বোধন (সফট ওপেনিং) করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আশেপাশের দেশ চাঁদে চলে যায়, আমরা কেন পিছিয়ে থাকবো? ভবিষ্যতে বাংলাদেশ চাঁদেও যাবে। শনিবার (৭ অক্টোবর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে তিনি শাহজালাল বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল এরিয়ায় এসে পৌঁছান। এ সময় দেশের গানের সঙ্গে মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করে তাকে স্বাগত জানানো হয়। এরপর অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধাসংবলিত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩-এর বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে আমি যখন সরকারে আসি তখন আমাদের বিমানবন্দরের কোনো বোডিং ছিল না, পার্কিং লোড ছিল না, কিছুই ছিল না। আমরা সরকারে এসেই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম এবং সিলেট এই দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল এ সময়টাই বিমানবন্দরের উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, যদি পারেন তাহলে ৯৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত কী উন্নয়ন ছিল, সেটা একটু দেখবেন।
বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু বাংলাদেশের
তিনি আরও বলেন, মানুষের যোগাযোগ ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতি উন্নতির জন্য একান্ত অপরিহার্য। আধুনিক যুগের নৌপথ সড়কপথ রেলপথের সঙ্গে সঙ্গে আকাশপথ সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। বিশেষ করে, এদের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ সেই যোগাযোগের মূল বাহন হচ্ছে বিমান। অর্থাৎ আকাশ যাত্রাটা হচ্ছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সেটাকে গুরুত্ব দেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে আমাদের আন্তঃজেলা সংযোগ বিমানের মাধ্যমে যাতে হয়, সেই পরিকল্পনা নিয়েছে। কেউ যশোর থেকে সৈয়দপুর যাবে, সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রাম যাবে, যশোর থেকে কক্সবাজার যাবে অথবা কক্সবাজার থেকে যশোর যাবে, বিমানের মাধ্যমে হবে— এমন পরিকল্পনা আমাদের আছে।

তিনি বলেন, আমাদের ভৌগোলিক অবস্থান, একদিকে ভারত মহাসাগর, অপরদিকে প্রশান্ত মহাসাগর; সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বঙ্গোপসাগর; প্রাচীন যুগ থেকে জায়গাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অবস্থানটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক এয়ার রুটের মাঝে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যদি উন্নত করতে পারি, যোগাযোগের জন্য একটা চমৎকার জায়গা হতে পারে। এ কারণে আমরা কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের গড়ে তুলতে যাচ্ছি। অন্যান্য বিমানবন্দরও আমরা উন্নত করছি।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমানসহ বেবিচক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top