ঢাকা বিশ্ব’বিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মঙ্গল বার সাধারণ মানুষের দুটি পৃথক সংঘ’র্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আ’হত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে রাতে আজিম পুরে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের জের ধরে সেনা-বাহিনীর লাঠি’চার্জে শিক্ষার্থীরা আ’হত হন, আ’হতদের মধ্যে দুজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সিএমএইচ ভর্তি করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ব-বিদ্যালয়ের নতুন প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমার কাছে যে তথ্য আছে’ ওখানে রাস্তার পাশে যে ভেন্ডর থাকে ওদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথা কাটা’কাটি হয়েছে।
সেই সূত্র ধরেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওখানের দোকান’দারদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং তারপর দোকানদাররা বোধহয় আ’র্মির মোবাইল পে’ট্রোল টিমকে ডেকে নিয়ে আসে। তারপর সেনাবাহিনী দু’পক্ষকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ওদের ওপর লা’ঠিচার্জ করেছে।
প্রক্টরের মতে ‘এটা সৈনি করা করেছে অফিসার’রা না।
ওখানকার লেফটে’ন্যান্ট কর্নেল নাহিদকে আমি যখন ইন’ভলভ করি তিনি এসে বিষয়টিকে সুন্দরভাবে ম্যা’নেজ করেছেন কিন্তু কোনো এক ফাঁকে দুই জন শিক্ষার্থীকে ওরা সৈনিকরা ভেতরে নিয়ে যায়।
যে দু’জনকে তুলে নিয়েছে তাদের ব্যাপকভাবে মেরেছে’ বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন ওই দুইজন ব্যাপক ভাবে জখম হয়েছে এটা অফিসারদের অ’জ্ঞাতে হয়েছে। আ’হত ওই দুই শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাস’পাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
পরে তাদের রাত তিন টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ’চার্যের উপস্থিতিতে সিএমএইচে পাঠানো হয়,
সিএমএইচ-এর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আ’হত শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে আপাতত কোনো শঙ্কা নেই।
তিনি আরও বলেন, তবে ওদের বিশ্রাম দরকার এখন। পরবর্তী ছয় ঘণ্টা পর বোঝা যাবে যে অন্য কোনও ট্রিটমেন্ট দরকার কি না। বিশেষ করে তাদের লোয়ার পার্টে…সেখানে জখমের চিহ্ন আছে। এই দু’জন শিক্ষার্থী মুহসিন হলের ছাত্র।
তবে গুরুতর আহতের সংখ্যা দু’জন হলেও সেনাবাহিনীর লাঠিচার্জের কারণে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী।
প্রক্টর জানান এ ঘটনা সেনা’বাহিনী একটি তদন্ত করছে এবং তারা এই ইস্যুটা খুব সিরিয়াসলি দেখবে,
তিনি আরও বলেন তারা যে’হেতু কথা দিয়েছেন তাই আমরা মা’মলাতে যাইনি।
ঘটনার সময় এবং পরে ঘটনা’স্থল থেকে বেশ কয়েক জনকে ফেসবুক লাইভ করতে দেখা গেছে, ঘটনার পর একটি লাইভে কয়েক জন ছাত্রকে সেনাসদস্যদের প্রশ্ন করতে দেখা যায় কেন তারা ছাত্রদেরকে মে’রেছেন?
ফেসবুকে অপর এক পোস্টে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সেনা কর্মকর্তাদের একটি ছবি দেখা যায় , যেখানে বলা হয়েছে ঘটনার জন্য সেনা কর্মকর্তা ক্ষমা চেয়েছেন এবং সেনা সদস্যদের বিচারের আওতায় আনার প্রতি’শ্রুতি দিয়েছেন।